বর্তমানে বিশ্বে কেবল করোনার ভাইরাস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, প্রতিটি দেশ ও রাজ্যের সরকারগুলি তাদের সর্বস্ব নিয়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, একইভাবে রাজস্থানের মুখ্য মন্ত্রী অশোক গেহলট ও তাঁর সরকারী সেনাবাহিনী এই ভাইরাস সঙ্গে লড়ে চলেছেন । কিন্তু এই রকম জটিল সময়ে ও এই রাজ্যের মানুষ ও সরকারের কিছু লোকজন আজকাল অন্যরকম বিপজ্জনক একটি ভাইরাসে দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আছেন । সেটি হল সাম্প্রদায়িকতা !

হ্যাঁ, গেহলোট সরকারের সময়ে ও এমন একটি ঘটনা উঠে এসেছে রাজস্থান এ, যা রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির উপর প্রশ্ন তুলছে, এবং সবাইকে বিব্রত ও করেছে। আসলে, রাজস্থান এর ভরতপুরের জানানা হাসপাতালে প্রসবের জন্য আগত এক মহিলা কে ডাক্তাররা ভর্তি করতে অস্বীকার করেন, শুধু মাত্র “তিনি মুসলমান” বলে ।
ব্যাপারটা কী ?
ভরতপুর জেলার বেলানগর গ্রামের বাসিন্দা ইরফান তার গর্ভবতী স্ত্রী পারভীনাকে নিয়ে সিক্রি হাসপাতালে যান এবং সেখান থেকে তাকে ভরতপুর জানানা হাসপাতালে যেতে বলা হয়।

আরও, পারভিনার স্বামী ইরফান এই ঘটনার অভিযোগ তুলে অভিযোগ করেছেন
“আমার স্ত্রী পারভীনাকে প্রথমে সিক্রি থেকে ভারতপুরে রেফার করা হয়েছিল। তারপরে এখানে আসার পরে, আমাদের জয়পুর যেতে বলা হয়। চিকিৎসকরা দরজায় আমাদের বলেছিলেন যে “আমরা মুসলমান”, তাই আমরা তাদের চিকিৎসা করতে পারি না।
এর পরে, জয়পুরের পথে তাঁর স্ত্রীর প্রসব হয় এবং শিশুটি মারা যায়।

ইরফান আরও যোগ করেছেন, আজ আমার শিশুর মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল প্রশাসন দায়ী।
একই সঙ্গে হাসপাতাল প্রশাসন এই বিষয়ে বলেছে যে, “মহিলাটি এখানে পৌঁছান, তখন তিনি খুব গুরুতর অবস্থাই ছিলেন, তাই তাকে জয়পুরে পাঠানো হয়েছিল, তাতেও যদি কোনও গাফিলতি দেখা যায় তবে তদন্তও করা হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিং তাঁর সরকারকে ঘিরে রেখেছিলেন
রাজস্থানের পর্যটন ও দেবস্থান মন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিং তার টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে এই ঘটনাটি লিখেছেন যে, তিনি বলেছেন, লকডাউনের সময় আমি কামা সহ অনেক জায়গাগুলি ঘুরে দেখছিলাম । এই সময়ের মধ্যে আমি তথ্য পেয়েছি যে একজন প্রসূতি, এক মুসলমান হওয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেউয়া হয়নি। এই বিষয়টি খুব মরামান্তিক। এর উপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই ভিডিওতে, মন্ত্রী সরাসরি ভরতপুর জানানা হাসপাতালের ডাঃ মনিত ওয়ালিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন এবং চিকিৎসা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ গার্গ কে কটাক্ষ করে বলেছনে “তিনি এই ভরতপুর এলাকার বিধায়ক ও, উনাকে এই ঘটনার উপর নজর রাখা উচিত
একই সঙ্গে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের অবস্থা নাজেহাল এবং জেলা কালেক্টর নাথমাল দিদল খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।