নতুন!নিত্য নতুন শীর্ষ শ্রেণীর প্রতিদিন ডিজিটাল কন্টেন্ট পেতে আমাদের ফেসবুক ফলো করুন
শিক্ষা

ডিসেম্বরেই স্কুল চালু করতে চাই রাজ্য। ১০ দফা গাইডলাইন তৈরি

1 Mins read
Covid-19 পরবর্তী স্কুল

ডিসেম্বর থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলি চালু করার পরিকল্পনা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী ৫ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে একটি রিভিউ বা পর্যালোচনা বৈঠক করতে চলেছে। সেই বৈঠকের পর এই স্কুল চালু নিয়ে ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে স্কুল চালু হতে গেলে কি কি গাইডলাইনে বা প্রয়োজনীয় রয়েছে সে বিষয়েও কার্যত প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর আধিকারিকরা।

১০ দফার বেশি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক দিনই সব পড়ুয়াদের ক্লাসরুমে আনার পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। সে ক্ষেত্রে সেকশনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। অর্থাৎ একেকটি সেকশনে যেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন পড়ুয়া পড়াশোনা করেন সেখানে সেই সেকশন গুলিকে ভেঙে দিয়ে একাধিক সেকশন করে দেওয়া হতে পারে। তার ফলে একেকটি ঘরে বা সেকশনে কুড়ির বেশি ছাত্র-ছাত্রী থাকবে না। দপ্তরের আধিকারিকরা ইতিমধ্যে একাধিক গাইডলাইন ও প্রস্তুত করে ফেলেছে।

গাইডলাইনগুলি কী কী তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:

১) ছাত্র-ছাত্রীদের এ সেকশনে সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রত্যেকদিন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ডেকে ক্লাস করানো সম্ভব।

২) এক একটি  ক্লাস রুমের আয়তন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বসাতে হবে।

৩) প্রাথমিকভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য। এর ফলে একই সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলের একাধিক ক্লাসরুম ব্যবহার করা যাবে।ফলে ক্লাসরুম গুলিতে একসঙ্গে একাধিক  ছাত্র-ছাত্রীর জমায়েত হবে না।

৪) স্কুলে শুধুমাত্র ক্লাসই হবে কোন রকম খেলাধুলা বা শরীরচর্চা আপাতত হবে না।

৫) স্কুল ক্যাম্পাসে কোন রকম ভাবেই বন্ধুদের সঙ্গে জটলা করা যাবে না।

৬) নিয়মিত স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাথরুম পরিষ্কার করতে হবে ।

৭) ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

৮) ক্লাসরুমে স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৯) কোনও ছাত্র বা ছাত্রী অসুস্থ বোধ করলে অভিভাবক অভিভাবিকাদের স্কুল কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে।

১০) সব সময় হাত পরিষ্কার করতে হবে পড়ুয়াদের।

যাবতীয় গাইডলাইন গুলি ঠিকভাবে মানা হচ্ছে নাকি তার ওপর নজরদারি করবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি তার তরফে নিযুক্ত করা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নজরদারি করবেন তারা সঠিকভাবে গাইডলাইন গুলি মানছেন কিনা  তা দেখবেন।

তবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, প্রত্যেকদিনই সব সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে হবে নাকি সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারা যায়নি । যদিও একাংশের ব্যাখ্যা রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে গেলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না। সে ক্ষেত্রে যদি একাধিক সেকশন ভাগ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করাতে হয় তাহলে প্রত্যেক দিনই সব শিক্ষকদের উপস্থিত হতে হবে বলেই মনে করছেন দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ। যদিও স্কুল চালুর ক্ষেত্রে আগামী বৃহস্পতিবারের মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা।

সূত্র – নিউজ১৮ বাংলা

Related posts
জীবনযাপনশিক্ষা

আপনি জন্ম থেকেই বিজয়ী, আপনি সেরা।

1 Mins read
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক… Share this:FacebookX
ইমেল এ সাবস্ক্রাইব করুন
[mc4wp_form id="17"] আমাদের পোস্ট এর রেগুলার আপডেট পেতে ইমেইল এ সাবস্ক্রাইব করুন

.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *